দিনদিন চাহিদা বাড়ছে পিরোজপুর পাড়েরহাটের শুটকির। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও

ফেরদৌস রহমান,পিরোজপুর
কঁচা নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস বন্দর হচ্ছে পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস বন্দর। আর এই বন্দরের কাছেই গড়ে উঠছে মাছ শুকানোর স্থান যা শুটকি পল্লী নামে পরিচিত। পিরোজপুরের চিথলিয়া ও পাড়েরহাট গ্রামে শুটকি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। শুটকির মৌসুমে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে এনে রোদে শুকিয়ে, প্রক্রিয়াজাত করে বানানো হচ্ছে শুটকি। তবে শুটকি শ্রমিকদের দাবি,উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সরকারি খাজ জমি পেলে সল্প খরচে,বেশি লাভে এই শুটকি শিল্পকে আরো বড় আকারে করা সম্ভব। আর জেলা মৎস অফিস বলছে,শুটকি শ্রমিকদের দাবি লিখিতভাবে দিলে উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

পিরোজপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাদুরা। এই কেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরেই হলো কচাঁ নদী। নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে শুটকি পল্লী।শুটকি শ্রমিকরা জানান, এখানে গত ১০ বছর ধরে কার্তিক মাস থেকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে ৫ মাস চলে শুটকির ব্যবসা। পাওয়া যায় ফাইস্যা, লইট্যা, চিতলসহ প্রায় ৩৬ রকমের শুটকি। আর এখান থেকেই বিভিন্ন প্রজাতির শুটকি মাছ ঢাকা, সৈয়দপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে বিদেশেও। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান,এখানে লইট্টা ও ট্যাংরাসহ প্রায় ৩০-৩৫ ধরনের মাছের শুটকি করা হয়। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেকের।