মঠবাড়িয়ায় তহসিলদারের সহযোগিতায় সরকারি জমি দখলের মহোৎসব !

বিশেষ প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তহসিদারের (ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি) সহযোগিতায় সরকারি জমি দখলের মহোৎসব চলছে। উর্দ্ধতণ প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ না থাকায় জনমনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফলে এক ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপজেলার বড়মাছুয়া বাজার সংলগ্ন খেজুর বাড়িয়া মৌজায় সরকারি ১ নং খাস খতিয়ানের জমিতে দোকান ও বসত ঘর তুলে দখল করে নিচ্ছেন স্থানীয় ভূমিদস্যুরা।

স্থানীয় সমাজ সেবক শহীদ হোসেন হাওলাদার, আলীম হাওলাদার, রুহুল আমিন তালুকদার, মীর মনির উদ্দিন সগীর ও বড় মাছুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. কবির হোসেন হাওলাদার বলেন, বাজারের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন আকন স্থানীয় তহসিলদার ও কিছু প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের আধাঁরে গত ৬ মে শুক্রবার সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনে সরকারি জমি দখল করে পাকা স্থাপণা নির্মাণ করেন। এসময় তহসিলদার রতন কুমার পাইক ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কিছু লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তহসিরদারের সহযোগিতায় একই খতিয়ানের জমিতে পূর্বেও ১৫-২০ টি দোকান ও বসত ঘর তুলে সরকারি জমি দখল করে নিয়েছে ভ‚মিদস্যুরা। কোন সময়ই উর্দ্ধতণ প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তবে শনিবার বিকেলে ইসমাইলের নির্মান করা পাকা স্থাপণা গুড়িয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন । এখনও ভ‚মিদস্যুদের দখলে রয়ে গেছে ১৫-২০ টি অবৈধ বিভিন্ন স্থাপণা। ইসমাইল হোসেন খেজুর বাড়িয়া গ্রামের মাওলানা ইব্রাহীম আকনের ছেলে।

এব্যপারে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন আকন এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এমকি মুঠো ফোনের কলটি তিনি কেঁটে দেন।

ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি (তহসিদার) রতন কুমার পাইক সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার কি দাড়িয়ে থেকে জমি দখল করে দেয়ার ক্ষমতা আছে ? তাহলে আপনি তদরকি করেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সার্ভেয়ারের দায়িত্ব।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, রাতের আধাঁরে নির্মাণ করা দোকান ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।