স্মৃতিচারণ!! শিক্ষাবিদ শ্রদ্ধেয় আবুল হাসেম সাহেব স্মরনে ।

মোঃ শাহিন হাওলাদারঃ শুধু ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর নয় সারা বাংলাদেশ জুড়ে ইকড়ি কে পরিচিতি দিয়েছেন। বলবো আমার দেখা একজন সফল ও গুনী মানুষের গল্প যিনি তার জিবনে সফলতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সফলতার মূর্ত প্রতিকও বলা যেতে পারে। সন্মান ও সফলতার রাজ্যে অসামান্য রাজত্ব করেছেন ছবিতে থাকা ব্যাক্তিটি । সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল সুদূর প্রসারী। একজন আদর্শ প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষক ও যাবতীয় গুনাবলী তিনি অর্জন করেছিলেন। তাঁর সফলতা এবং অবদান বলাবাহুল্য, আজও মনে পড়ে সেই ছোট বেলা যখনই প্রাইমারিতে যেতাম হাতে থাকা পানের থলি নিয়ে প্রতিটি শ্রেনী কক্ষে গুরে গুরে সকলের পড়ালেখার খোঁজ নিতেন, খোজ নিতেন পারিবারিক সমস্যা সম্পর্কেরও। যতটুকু মনে পড়ে দেখিনি কখনো কারো সাথে দাম্ভিকতার সাথে আচরনের, এ যেন সর্বক্ষেত্রে সাধারণ জীবন যাপনের এক প্রতিচ্ছবি । আমার দাদুর নাম ও তার নাম এক হওয়াতে মিতা সম্মোধন করে বলতেন তুমি মিতার নাতি? দাদুর কাছেও শুনতাম তার অনেক গল্প। অহংকার যেন তার দার প্রান্তেও পৌঁছাতে পারেনি।
তিনি সিংহখালি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নজির স্থাপন করেছেন । চ্যালেঞ্জ গ্রহন ও সফলভাবে চ্যালেঞ্জ উত্তরনের মধ্যে তিনি আনন্দ খুঁজেছেন বলে আমার ধারনা। উপরোক্ত প্রতিষ্ঠান সমুহের ছাত্রছাত্রীদের সাথে বন্ধুত্বসুলভ সুসম্পর্ক, সকলের সাথে পারস্পরিক ভালবাসার বন্ধন সহ সব কিছুকে একই সুতায় বেঁধে নিয়ে সন্মুখ ভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান সমুহের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন। দায়িত্ব সচেতন ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বগুণে ও অত্র এলাকার সর্বজনের শ্রদ্ধার ব্যাক্তি ছিলেন এ মহান মানুষটি।
আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আছে তার দেয়া শিক্ষা, আছে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সমুহ।তার কর্ম অবদানে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের মনের মনি কোঠায় ৷
১৩ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি এবং দোয়া করি আল্লাহ তাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন আমিন। মানুষ তার কর্মে পরিচিত লাভ করেন। কর্ম মানুষকে পরিচিত করে দেয় তিনিই তার এক দৃষ্টান্ত। সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মর্যাদায় দান করুন। সাথে সাথে আমার দাদুর জন্যও দোয়া কামনা করছি।
সৃতিচারণে এবং দোয়া কামনায়ঃ মোঃ শাহিন হাওলাদার।