মালয়েশিয়ায় ধসে পড়া ভবন থেকে বাংলাদেশী উদ্ধার
নুর মোহাম্মদ সোহেলঃ কুয়ালালামপুর এর সন্নিকটে গোম্বাক এলাকায় ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট টার্মিনালের নির্মাণাধীন বহুতল গাড়ি পাকিং এর ভেঙে যাওয়া অংশের নিচে আটকা পরার ৬ (ছয়) ঘন্টা পর তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে একজন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রেসকিউ টিম ও মেডিক্যাল অফিসারদের সিদ্ধান্তে ব্যক্তির হাত কেটে দুর্ভাগ্যবশত তাকে টেনে বের করতে হয়েছে।
কুয়ালালামপুরে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট (জেবিপিএম) এর পরিচালক নর্ডিন পাওজি জানান, ধসে পড়ার পর একটি বড় কংক্রিট কাঠামোর নিচে ঐ নির্মাণ শ্রমিক চাপা পরেন। উদ্ধার অভিযানে, জেবিপিএম এবং সমস্ত নিরাপত্তা প্রয়োগকারী সংস্থা চাপা পরা ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম এবং ধাতব বস্তু কাটতে বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে শেষ পর্যন্ত তার অস্তিত্ব পায়।
নর্ডিন বলেন, চাপা পরার পর তার হাতের একটি অংশ সম্পূর্ণ ভাবে চূর্ণ হয়ে যায়। যার দরুন তাকে উদ্ধার করা জন্য দেহ থেকে হাত টি বিচ্ছিন্ন করা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। উদ্ধার কাজে ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। এরপর উদ্ধার পরবর্তি চিকিৎসার জন্য সিলায়ং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সামগ্রিকভাবে, এই ঘটনায় তিন জন নির্মাণ শ্রমিক আটকা পরেন। এদের মধ্যে দুজনই ইন্দোনেশিয়ার এবং তাদের আগে থেকেই অন্য নির্মাণ শ্রমিকরা উদ্ধার করেছিলেন।
বারনামার সূত্র মতে দূর্বল নির্মান কাঠামো হওয়াতে গতরাত ১ টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনটির একটি অংশ ধসে পরে। এদিকে দূর্ঘটনায় হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া বাংলাদেশির কোন পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।