প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করতে প্রাথমীক শিক্ষক হিসেবে আমাদের আন্তরিকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

মনিকা রানী তেওয়ারী প্রধান শিক্ষক, বড় কৈবর্তখালী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, রাজাপুর, ঝালকাঠী।
প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী বান্ধব গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। উপবৃত্তি থেকে শুরু করে 'স্কুলের নির্ধারিত পোষাক পর্যন্ত দিয়ে যাছেন। এমনকি প্রান্তিক পরিক্ষা গুলোর সম্পূর্ণ খরচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অভিভাবকের কাছ থেকে না নিয়ে সম্পূর্ণ যাবতীয় খরচ বহন করে যাচ্ছেন।
শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর দায়িত্বটুকু অভিভাবকদের কাছে। সেখানে আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকাগণ ও অবিভাবক আরো একটু সচেতনতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পরা থেকে ফিরিয়ে এনে বিদ্যালয়মুখী করতে পারলে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ চেষ্টা আরও স্বার্থক করতে পারি। প্রথমতঃ অনেক শিক্ষার্থী দুপুরে বিরতিতে বাড়ীতে গিয়ে খেয়ে বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।
আমরা স্লিপ ফান্ড থেকে অন্যান্য খরচ এর পাশাপাশি সব শিক্ষার্থীকে টিফিন বাক্স দিতে পারি যাতে করে বিশেষ করে এক শিফট বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীরা টিফিনবাক্সে কিছু খাবার নিয়ে আসতে পারে। এতে দেখা যাবে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছেড়ে কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসায় চলে গেলেও আবার বিদ্যালয়ে আসতে পারে।দ্বিতীয়ত, আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে যেমনঃ যখন শিক্ষার্থী প্রথম বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে তখন তাকে ছোটখাটো ভাবে বরণ করতে পারি।
সেটি কোন বস্তুগত কিছু উপহার দিয়ে অথবা শিক্ষার্থীকে কোন ভঙ্গিমা দেখিয়েও হতে পারে। তৃতীয়ত, প্রতি মাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীদের পুরষ্কৃত করন এবং প্রত্যেক প্রান্তিক মূল্যায়নে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে যথাসাধ্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা করতে পারি অবশ্যই সেটি হতে হবে সামর্থ্যের মধ্যে। চতুর্থত, প্রত্যেক মাসে দাবা খেলা, লুডু, কেরাম, ফুটবল খেলা, বক্তৃতা, গান, কবিতা, বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করতে পারেন শ্রেনি শিক্ষক।
সেখানে তিনি তার সামর্থ্যের মধ্যে বিজয়ীকে ও বিজিতাকে পুরষ্কৃত করতে পারেন। যা স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করবেন। এমনকি বিদ্যালয় পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার টাকা থেকে নেয়া যেতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবে ও আনন্দ পাবে। শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে বসে থেকে যে হতাশায় ভোগে বিদ্যালয়ে এসে হতাশা ভুলে যেন আনন্দমুখর পরিবেশে বিদ্যালয়কে শান্তির আবাস্থল ভাবতে পারে আসলে একটু আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান এর মত ভাবতে পারলে আমরা শিক্ষকরা মনে হয় এতটুকু করতেই পারি।