নারী ইউপি সদস্যের নামে ফেসবুকে মানহানি পোস্ট, পিন্টুসহ ৮ জনের নামে আইসিটি মামলা।

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউপি সদস্য বাউল শিল্পী ছালমা আলমগীরের নামে মানহানিকর ফেসবুক পোস্ট দেয়া এবং শেয়ার দিয়ে বিভিন্ন কমেন্টের কারণে ৮জনের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ছালমা আলমগীর বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৪ (এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা (নং- ৩০/২৩, তারিখ-০৪-০৪-২৩ইং) দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয়েছে মিজানুর রহমান ওরফে এমডি নীরব, রাজ্জাক হোসাইন পিন্টু ওরফে রাজ্জাক পিন্টু, কামরুল ওরফে এমডি কামরুল, নাফিউল ইসলাম, বশির উদ্দিন খলিফা, নাজমুল হাসান সিমান্ত, নুরুল আলম মোল্লা, খন্দকার সিরাজুল ইসলামকে। তারা ছালমা আলমগীরের সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পোস্ট এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। ইউপি সদস্য ও বাউল শিল্পী ছালমা আলমগীর জানান, মোবাইল চুরির ঘটনায় চোর কর্তৃক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির একটি ভিডিও কুচক্রী মহল মনগড়া কিছু কথাবার্তা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে যা আদৌ সত্য না। এঘটনার দীর্ঘ ০৯ মাস পর গত ২৫ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে ধারণকৃত ভিডিও দিয়ে বিভিন্ন স্কিন সর্ট দিয়ে ছবি সৃষ্টি করে ও ভিডিও কর্তন করে মানহানীকর প্রয়োজনীয় টুকু রেখে ডাঃ জহির সাহেব ও ছালমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে নিরব হাওলাদারের নামে পরিচালিত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়েছে। ঐ ভিডিও ২৫হাজার টাকার বিনিময়ে গত ২২ মার্চ রাতে কোন এক ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। সেখান থেকে পোস্ট ও সরবরাহ করা হয়েছে। বিষয়টি অপপ্রচার হবার পরে অনেকেই ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ষড়যন্ত্রের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এধরনের সম্মানহানী ও বিভ্রান্তমূলক ফেসবুক পোস্টকারীদের বিচারের দাবিতে মামলা দায়ের করেছি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। ছালমা আলমগীরের স্বামী সাংবাদিক আলমগীর শরীফ জানান, আসলে আমিও এই ১৭ বছর সংসার জীবনে জানি ছালমা কোন অসামাজিক কাজ করতে জানেনা। মিথ্যা কথা বলেনা এবং আমার কাছে কোন কিছু গোপন করে না। আমি ঐ অসত্য লিখার প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এধরনের সম্মানহানী ও বিভ্রান্তমূলক ফেসবুক পোস্টকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন তিনি।